skip to main |
skip to sidebar
রাজকীয়
পরিবেশে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পতৌদি পরিবারের ছোট নবাব সাইফ আলী খান ও
বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। ৫২টি গ্রাম নিয়ে পতৌদি পরিবারের রাজত্ব।
ঐতিহ্য আর খ্যাতিতে পতৌদি পরিবারের বিশ্বজোড়া সুনাম রয়েছে। এবার সেই
রাজ্যের রানী হলেন কাপুর পরিবারের কন্যা কারিনা। সাইফ-কারিনা তাদের
দীর্ঘদিনের প্রণয়বন্ধনকে বাস্তবতায় রূপ দিতে মঙ্গলবার রাতে জমকালো আয়োজনে
আনুষ্ঠানিকভাবে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।
নতুন বছরের শুরু থেকেই বলিউডপাড়ায় যেন জমকালো সব অনুষ্ঠানের ধুম পড়ে গেছে।
এই তো ফেব্রুয়ারিতে মহা ধুমধামে বিয়ে করলেন তারকাজুটি রিতেশ দেশমুখ ও
জেনেলিয়া ডি'সুজা। আর ক'দিন আগেই মালাবদল করলেন এশা দেওয়াল ও ভরত তখতানি।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন
সাইফিনা। বিয়েতে কারিনা শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুরের স্বর্ণখচিত বিয়ের পোশাকই
পড়েছিলেন। এছাড়াও গলায় জড়িয়েছিলেন মহামূল্যবান রাজকীয় হার। সব মিলিয়ে
কারিনাকে রাজবধূর মতোই লাগছিল। আজ দিলি্লতে জমকালো পরিবেশে তাদের
বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল থেকেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু
হয়েছে। পতৌদি পরিবার পুরো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানজুড়েই বৈচিত্র্যময় সব
অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটিই হচ্ছে বলিউডের সর্বকালের
সবচেয়ে জমকালো সংর্বধনা অনুষ্ঠান। স্বয়ং শর্মিলা ঠাকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
তত্ত্বাবধান করছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলিউডের নামিদামি সব তারকারাও
অংশগ্রহণ করছেন। অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, আমির খান, যশ চোপড়া থেকে শুরু
করে বিপাশা বসু, জন আব্রাহাম, লারা দত্ত ও মহেশ ভুপতিসহ নিমন্ত্রণের তালিকা
থেকে কেউই বাদ পড়েননি। এছাড়াও নিমন্ত্রণের তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি
প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সনিয়া গান্ধী ও অম্বিকা সোনির মতো
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকছে রসালো সব
খাবার-দাবার। ভারতের সব ঐতিহ্যবাহী খাবারেরই অর্ডার দেয়া হয়েছে। জানা গেছে,
সাইফিনার নবাবী ভোজে প্রায় ৮০ রকমের মিষ্টিই থাকছে। এমনকি জয়পুরের ১৫
রকমের ঐহিত্যবাহী পানও রয়েছে। শুধু দেশি নয়, নবাবী ভোজের তালিকায় রয়েছে
বিদেশি খাবারও। এসব খাবার নাকি কারিনা নিজের হাত দিয়েই পরিবেশন করবেন। তবে
তিনি নিজে নবাবী ভোজকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন। বিয়ের এতসব আয়োজন নিয়ে
সাইফ-কারিনা যারপরনাই খুশি এবং আনন্দিত।
সাইফিনা মঙ্গলবার পারিবারিকভাবে কোর্ট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিয়ে করলেও
ধর্ম পরিবর্তন করেননি। তবে সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর বিয়ের সময় ধর্ম
পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ৪৩ বছর আগে শর্মিলা যা পারেননি, তাই করে
দেখালেন বেবো। তবে কারিনা অবশ্য খান পদবি ব্যবহার করবেন বলে জানা গেছে।
রোববার কারিনার বান্দ্রার বাড়িতে বিয়ের 'সঙ্গীত' অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই
পরিবারের ইচ্ছাতে নিতান্তই ঘরোয়া পরিবেশে 'সঙ্গীত' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়েছিল। অনুষ্ঠানে কেবল দুই পরিবারের আপনজন ও ঘনিষ্ঠ শুভাকাঙ্ক্ষীরা
উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কারিনার বড় বোন কারিশমা কাপুর বলেন, 'আমি আমার একমাত্র ছোট
বোনের বিয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলাম। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতায় দারুণ মজা করছি।'
সাইফিনাজুটি দীর্ঘ ৫ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।
ইতোমধ্যে এই বিয়ে নিয়ে বলিউড মহলসহ চারদিকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ বছরের
শেষের দিকে বিয়ে করার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর ১৬
অক্টোবরকে বিয়ের তারিখ হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে শর্মিলা ঠাকুরের সময়
নির্ধারণ নিয়ে সাইফ-কারিনা গড়িমসি করলেও শেষ পর্যন্ত মায়ের আদেশ পালন
করেছেন।
২০০৬ সালে শহিদ কাপুরের সঙ্গে প্রেমের পাঠ চুকিয়ে কারিনা যেন নিঃসঙ্গ দিন
কাটাচ্ছিলেন। সাইফ আলি খান তার স্রোতহীন নদীতে আবারো জোয়ার এনে দিয়েছেন।
২০০৮ সালে 'তাশান' ছবির মাধ্যমে সাইফিনাজুটি পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হন। সেই থেকে
আজ পর্যন্ত তাদের মধ্যে এক মুহূর্তের জন্যও ভাঙন ধরেনি। আজীবন তারা
পরস্পরের হৃদয়ে আবদ্ধ থাকতে চান।
No comments:
Post a Comment